তাড়ানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে, আজ সেই টাটার ইংল্যান্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন আপনিও

শিল্পের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি বড় নাম টাটা ইন্ডাস্ট্রি (Tata Group)। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মাটিতে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল টাটা (Tata)। টাটা গ্রুপ ঘোষণা করেছে, 40GW ব্যাটারি প্রস্তুতকারী কোম্পানি হিসেবে টাটা প্রবেশ করবে ইংল্যান্ডে (England) । এই প্রসঙ্গে টাটার চেয়ারম্যান এস চন্দ্রশেখর (S Chandrashekhar) জানিয়েছেন টাটা (Tata Group) আগামী দিনে আরো বেশি এগিয়ে যেতে চাইছে ব্যবসার ক্ষেত্রেই।

ইউরোপের অন্যতম বড় ব্যাটারি তৈরির কারখানা এবার তৈরি করা হবে ইংল্যান্ডে। মাল্টি মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চাই। ইংল্যান্ডে ইতিমধ্যেই আমাদের প্রযুক্তি, স্টিল, কেমিক্যালস, অটোমোটিভের মতো নানান কোম্পানি রয়েছে। আরে একবার বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি বিদেশে।

Tata Group

এই ব্যাটারি মূলত প্রস্তুত করা হবে Jaguar and land rover electrical vehicles- এর জন্য। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করলো টাটা যার ফলে এই শিল্প আরও কিছুটা অগ্রসর হল সাফল্যের দিকে। ইংল্যান্ডে টাটার এই শিল্প উদ্যোগের কথা জানাজানি হবার পর আরো একবার সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সকলের সামনে।

আরো পড়ুন: বাজরাঙ্গি ভাইজান এর সেই ছোট্ট মুন্নি এখন সুন্দর যুবতী, ছবি দেখে প্রেমে পড়বেন আপনিও

আমরা সকলেই জানি বাম জামানায় সিঙ্গুরের মাটিতে শিল্প নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন রতন টাটা। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গকে আরো কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময়ে বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনভাবেই বিরোধিতা করেছিলেন এই ব্যাপারটি নিয়ে যে অবশেষে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় টাটা। সেই ঘটনার প্রায় ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও সেই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

Ratan Tata Tata Group

আরো পড়ুন: সুবিধা ও সুরক্ষার দিক থেকে ভারতের শীর্ষে রয়েছে এই ৫ টি ট্রেন

পশ্চিমবঙ্গের মাটি ছেড়ে দিলেও টাটার জয়যাত্রা কখনো বন্ধ হয়ে যায়নি। ইংল্যান্ডে টাকার বিনিয়োগ আরো একবার প্রমাণ করে দিল সেই কথা। আজও এই ঘটনার কথা সামনে নিয়ে এসে অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলেন, তখন যদি সাধারণ মানুষের কিছুটা বোধগম্য হত, ব্যাপারটা তাহলে হয়তো আজ চাকরির খোঁজে সাধারণ মানুষকে বিদেশে পাড়ি দিতে হতো না।