একটা সময় ছিল যখন আমরা মুঠো করে টাকা নিয়ে বাজারে যেতাম এবং ব্যাগ ভর্তি করে বাজার নিয়ে আসতাম বাড়িতে। আজ ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। আজ ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে গিয়ে মুঠো ভর্তি বাজার নিয়ে আসতে হয় আমাদের। তবে এবার হয়তো মধ্যবিত্ত মানুষের কপালের ভাঁজ কিছুটা কম হতে চলেছে কারণ প্রতিবেশী দেশ নেপাল(Nepal) ভারতের টমেটোর (Tomato) রপ্তানি করার জন্য রাজি হয়েছে।
ভারতে(India)যেভাবে টমেটোর দাম বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের চিন্তা প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছিল, ঠিক এই মুহূর্তে নেপাল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারতের দিকে। কিন্তু ভারতকে বিপুলভাবে টমেটো দেবার বিনিময়ে নেপাল যা চাইছে সেই সামগ্রী রপ্তানির উপর অনেক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। কিন্তু কি এমন দ্রব্য চাইছে নেপাল যা দিতে পারবে না ভারতবর্ষ?
আরো পড়ুন: কেবলমাত্র জিনিয়াস লোকেরাই পারবেন ৫ সেকেন্ডের মধ্যে Petro-র ভিড়ের মধ্যে Retro শব্দটি খুঁজে বের করতে
ভারতের প্রতিবেশী এই ছোট্ট দেশটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারতের থেকে চাইছে প্রচুর পরিমাণে চাল কিনতে কিন্তু ইতিমধ্যেই ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম কমাতে বাসমতি চাল ছাড়া আর অন্য কোন চাল বিদেশের রপ্তানি করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় বাজারে টমেটোর দাম কমানোর জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কি তুলে দিতে পারবে ভারত বর্ষ নাকি শুধুমাত্র নেপালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হবে? জানা যায়নি এখনো।
এই প্রসঙ্গে নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শবনম শিবকটি বলেছেন, নেপাল ইতিমধ্যেই প্রস্তুত ভারতে টমেটোর রপ্তানি করার জন্য কিন্তু ভারত সরকারকে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমাদের দেশে পাঠাতে হবে। টমেটোর পরিবর্তে চাল এবং চিনি রপ্তানি করার জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি ভারতকে।
গত কয়েক মাস ধরে ভারতে টমেটোর দাম কোথাও ২০০ টাকা, কোথাও ২৫০ টাকা, আবার কোথাও ৩০০ টাকায় দেখা গেছে। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার ভর্তুকি দিয়ে টমেটো বিক্রি শুরু করার পরে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে। এখন প্রতি কেজি টমেটোর দাম ৫০ টাকা। নেপালে সবথেকে বেশি টমেটোর ফলন হয় কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুরে, যেখান থেকে টমেটো আমদানি হলে সব থেকে বেশি টমেটো পাঠানো হবে উত্তরপ্রদেশে।
আরো পড়ুন: মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানির ২০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি বাথরুমে বিশেষত্ব জেনে কপালে উঠবে চোখ
তবে ইতিমধ্যেই নেপাল ভারতের থেকে যে ১০ লক্ষ টন ধান, ১ লক্ষ টন চাল এবং ৫০ হাজার টন চিনি চেয়েছিল তা এখনো ভারত দেবে কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বর্তমানে নেপালি প্রতি কেজি চাল ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতের কাছে চালের আবেদন করেছিল নেপাল কিন্তু যেহেতু ইতিমধ্যেই বিশ্বের বাজারে চাল রপ্তানি ব্যান করে দিয়েছে মোদি সরকার তাই এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে এখনো।