এই বছর এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ (World Cup) ও দুর্গাপুজো একই সময়ে। এইবারের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে ৫ই অক্টোবর থেকে। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী ২০শে অক্টোবর। বাঙালিদের কাছে পুজো আরো আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। মহালয়া মানেই পুজো শুরু। এইবার মহালয়া পড়েছে ১৪ই অক্টোবর। আবার ঠিক তারপরের দিন, অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর বিশ্বকাপের সব থেকে বড় ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তানের। পাকিস্তানকে ভারত হারিয়ে দিলে বিশ্বকাপের উন্মাদনা এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
আরো পড়ুন: সৌন্দর্যে দিদিকেও পিছনে ফেলবে নুসরাত জাহানের সুন্দরী জমজ বোন, ছবি দেখে প্রেমে পড়বেন আপনিও
১৯শে অক্টোবর, অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন আবার ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) ম্যাচ। ২২শে অক্টোবর অর্থাৎ অষ্টমীর দিন কোহলিদের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ২৯শে অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর ঠিক পরের দিনই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। ২০২৩ সালে একদিকে দীর্ঘ ১০ বছরের খরা কাটিয়ে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) হাতে ট্রফি দেখার আশা, আবার অন্যদিকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো একই সময়ে। এই সমাপতনের ফলে মা দুর্গার সঙ্গে বিরাট কোহলিদের জোর লড়াই।
কোন দিকে যাবে বাঙালি? রাস্তায় বেরিয়ে ঠাকুর দেখবে, নাকি ঘরে বসে টেলিভিশনে ভারতীয় দলের খেলা দেখবে? কলকাতায় (Kolkata) দুর্গাপুজোর সময় উৎসবের পরিবেশ। প্রতিটি পুজো কমিটির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কার প্যান্ডেলে ভিড় বেশি হয়েছে সেই নিয়ে। ভিড় টানার জন্য বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তারা। পুজোর মধ্যেও যাতে ভিড় হয় তার জন্য কী পরিকল্পনা করবেন উদ্যোক্তারা? এমনটা হতে পারে যে, প্যান্ডেলের পাশেই বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করতে পারেন, তাতে রথ দেখা আর কলা বেচা দুইই হবে।
আরো পড়ুন: একেই বলে শখের দাম লাখ টাকা! বিশ্বের এই ৫ টি দামি জিনিস পছন্দ করেন মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানি
ঠাকুর দেখতে দেখতেই বিশ্বকাপের (World Cup) আনন্দ নিতে পারবেন দর্শক, তবে ভিড় আরো বাড়লে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আগে থেকে হয়তো সতর্ক হবে পুলিশ। শহরে অনেক পুজো কমিটি রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন থিমের প্যান্ডেল দেখা যায়। প্রতি বছর নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আসেন উদ্যোক্তার। বিশ্বকাপের বছরে পুজোর থিমেও কি দেখা যেতে পারে ক্রিকেট? পুজোর থিম প্রায় এক বছর আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে। বিশ্বকাপ কবে শুরু, কবে শেষ, আগেই জানানো হয়েছিল।
এর ফলে পুজোর উদ্যোক্তারা যদি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের থিম ভেবে রাখেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিশ্বকাপের এই ম্যাচগুলির কোনওটিই কলকাতায় হবে না। শেষ যেই বার দেশের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, সেই ২০১১ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারপর ভারত আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এইবছর ভারতের জয় হওয়ার আশায় থাকবে সকলে।