প্রায় সেই কোন না কোন কারনে মুকেশ আম্বানির(Mukesh Ambani) নাম আমরা দেখতে পাই সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। ব্যবসার পাশাপাশি ব্যক্তিগত কারণে এই পরিবারের নাম আমরা দেখতে পাই সব সময়। আম্বানি পরিবারের যে কোন অনুষ্ঠানের ঝলক সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media) পোস্ট করার সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায়। আম্বানি পরিবার যে বাড়িটিতে বাস করেন, সেই বাড়ির ভেতরের সাজসজ্জা এবং দৃশ্য দেখার জন্য আমাদের কৌতুহল থাকে সবসময়।
তবে আজ এমন একটি তথ্য আপনাকে দেবো যা শুনলে আপনি নিঃসন্দেহে অবাক হয়ে যাবেন। আমরা সকলেই জানি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বাড়িতে প্রায় শতাধিক কর্মচারী কাজ করেন। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বিভাগে কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। এই কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি কর্মচারীদের সন্তানদেরও শিক্ষার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে।
আরো পড়ুন: TATA-র এই শেয়ারে রাতারাতি বিনিয়োগকারীরা হবেন কোটিপতি, আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে গড়বে নতুন ইতিহাস
এত বড় বিলাসবহুল পরিবার, যে পরিবারের অন্যতম কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি(Nita Ambani)। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে হবে কর্মচারীরা নিতা আম্বানিকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন। যে কোনো বড় বড় সেলিব্রিটিদের বাড়িতে যা হয় ঠিক তেমনই হয় আম্বানি পরিবারে। কিন্তু আপনি জানলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন আম্বানি পরিবারের যে কর্মচারীরা কাজ করেন তারা নিতা আম্বানিকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন না।
আম্বানি পরিবারের কর্মচারীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ির সদস্যদের সুযোগ-সুবিধার দিকে খেয়াল রাখেন তাই কর্মচারীরা শুধু কর্মচারী নন বরং পরিবারের সদস্যের মতো থাকেন আম্বানি পরিবারের সঙ্গে। পরিবারের আর পাঁচটা সদস্যের মতোই কর্মচারীরা নিতা আম্বানিকে বৌদি বলে সম্বোধন করেন। মুকেশ আম্বানিকে দাদা এবং নিতা আম্বানিকে বৌদি বলে সম্বোধন করেন কর্মচারীরা প্রত্যেকেই।
খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়িতে যেভাবে কর্মচারীরা মালিককে সম্বোধন করেন ঠিক সেই ভাবেই এই পরিবারের সম্বোধন করা হয়। এই তথ্য শুনে বোঝাই যাচ্ছে মানে পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যদের সঙ্গে কর্মচারীদের সম্পর্ক ভীষন পারিবারিক।