প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) অধীনে ভারতবর্ষ এখন অনেকটাই আত্মনির্ভর। বিদেশের পণ্যের উপর নির্ভর না করে যতটা সম্ভব আত্মনির্ভরশীল হতে চাই যে ভারত, আর তার অন্যতম একটি পদক্ষেপ ছিল মেক ইন ইন্ডিয়ার(Make in India) অধীনে মোবাইল প্রোডাকশন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে তৈরি এই মোবাইল ফোনের প্রোডাকশন প্রায় ২ বিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করে গেছে।
এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ প্রচুর পরিমাণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং সরকারি উৎসাহ। রিসার্চ অনুযায়ী ভারত বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বহু কোম্পানি ভারতে মোবাইল ফোনের পাশাপাশি যন্ত্রাংশ তৈরি করার ইউনিট স্থাপন করতে চাইছে যা ভারতকে আরও উন্নতির দিকে পরিচালিত করছে। এই সমস্ত ইউনিট ভারতকে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে গবেষক তরুণ পাঠক জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে যখন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেন তখন ভারতের লোকাল ভ্যালু অ্যাডিশন ছিল মাত্র ১৯ শতাংশ যা ২০২২ সালে ১৫ শতাংশের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছরে সামগ্রিক বাজারের প্রায় ৯৮% বেশি মোবাইল ফোন মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে তৈরি হয়েছে।
আরো পড়ুন: ভারতের জাতীয় বৃক্ষ না হয় বট! বলুন তো পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় গাছের নাম কী? বাংলায় থাকলেও অনেকের কাছেই নেই এর উত্তর
পাঠক আর জানিয়েছেন, আগামী দিনে স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে এই উন্নতি আরো আমরা লক্ষ্য করব কারণ গ্রাম থেকে শহরের বিভাজন দূর করার জন্য এই মোবাইল ফোন একটি পাওয়ার হাউসে পরিণত হতে চলেছে।
অন্যদিকে বিশ্লেষক প্রাচীর সিং জানিয়েছেন, ভারত সরকার সেমিকন্ডাক্টর হাব তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। ভারত একটি সেমিকন্ডাক্টর পিএলআই স্কিম প্রস্তাব এনেছে এবং $১.৪ ট্রিলিয়নের প্রস্তাবিত একটি বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোর উপরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
আরো পড়ুন: অপটিক্যাল ইলিউশনের এই ছবিতে একটি বাঘ লুকিয়ে আছে, 99% মানুষ এটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ
ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, ভারত সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারি নীতি ভারতকে চলতি বছরে মোবাইল ফোন রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করেছে। এই উন্নতি আগামী দিনে আরো কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।