উন্নত হয়েছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান, তাও ১১০ বছর পেরিয়ে গেলেও কেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গেল না আজও

একটা স্বপ্নের জাহাজ, যা হাজার হাজার স্বপ্নকে নিয়ে পাড়ি হয়েছিল অ্যাটলান্টিক সাগরে(Atlantic Ocean), তিন মাস ধরে চলা সফর মাত্র তিন দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এক দুঃস্বপ্নের রাত ছারখার করে দিয়েছিল কয়েকশো জীবনকে। বহুমূল্যবান এই জাহাজটি শুধুমাত্র একটি বরফের পাহাড়ের ধাক্কায় চুরমার হয়ে জলের তলায় ডুবিয়ে যায়।

Titanic

কিন্তু এবার প্রশ্ন হল, প্রায় ১১০ বছর আগে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছিল, তারা এত বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন জলের তলা থেকে উদ্ধার করা গেল না টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে। আজ এই প্রতিবেদনে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য এসেছি আমরা। বিশালাকার যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল আরএমএস টাইটানিক(RMS Titanic)। সবথেকে অত্যাধুনিক এবং বিলাসবহুল জাহাজ ছিল এটি।

আরো পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের কতখানি ফারাক থাকলে সম্পর্ক থাকে মধুর, ঝগড়া হয় কম! শুনলে চমকে যাবেন আপনিও

গ্রিকের শক্তিশালী দেবতা টাইটানিকের নামে নামকরণ করা হয়েছিল এই জাহাজটিকে, অনেকেই মনে করেছিলেন এই জাহাজটি কখনো ডুববে না। কিন্তু সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে চুরমার করে দিয়ে একটি হিমবাহর ধাক্কায় ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল একটি শীতল এবং চাঁদহীন রাতে সলিল সমাধি ঘটে টাইটানিকের। সংঘর্ষের মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ জাহাজ ডুবে যায়।

Titanic
বর্তমানে নিউফাউন্ডল্যান্ড(Newfoundland) উপকূলের প্রায় ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে সমুদ্র তল থেকে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। কিন্তু এত বছর পরেও টাইটানিকের সেই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা যায়নি কারণ এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে মিডনাইট জোন(Midnight Zone) অর্থাৎ সমুদ্রতলের ১ হাজার মিটার গভীরে। এই স্থানে সূর্যের আলো কখনো পৌঁছয় না তাই এটি পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

আরো পড়ুন: ভরনী নক্ষত্র প্রবেশ করবে বৃহস্পতিতে, আকাশ ছোঁয়া সাফল্য পাবেন এই ৫ রাশি

এই স্থানে চারিদিকে জলের একটি বিপুল চাপ থাকে এবং থাকে প্রচুর স্রোত। সমুদ্রের নিচে থাকা যে কোনো বস্তু এই অংশে অত্যান্ত সংকটের মাধ্যমে বেঁচে থাকে।শুধু তাই নয়, টাইটানিক(Titanic) যে স্থানে আটকে রয়েছে সেখান থেকে টাইটানিককে উদ্ধার করা বিপুল ব্যয়বহুল একটি কাজ তাই এখনো পর্যন্ত টাইটানিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও কিছুদিন আগে টাইটান(Titan) নামে একটি ডুবোজাহাজ টাইটানিকের সন্ধানে গিয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যাত্রার কিছু ঘন্টার মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে ডুবোজাহাজে অবস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তি মারা যান।