প্রতি বছরের মত উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) জন্মদিন উপলক্ষে অভিনেতাকে সম্মান জানাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী, কোয়েল মল্লিক, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, অঙ্কুশ হাজরা এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)।
প্রতিবারের মতো এবারেও যে তারকাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তম কুমার মহানায়ক পুরস্কার, তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কিভাবে অযোগ্য মানুষের হাতে প্রতি বছর তুলে দেওয়া হচ্ছে এই মহানায়ক পুরস্কার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রত্যেক মহলে। রাজনীতি আর শিল্প যে একাকার হয়ে যাচ্ছে তা বলতেও দ্বিধাবোধ করেননি সাধারণ মানুষ।
আরো পড়ুন: নিয়ম না মানলেই খসাতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা! পশ্চিমবঙ্গে এক সঙ্গে কতটা মদ কেনা যায়?
তবে এবারে সবথেকে বেশি নিন্দার ঝড় উঠেছে শ্রাবন্তীর এই পুরস্কার হাতে নেওয়ার পর। পুরস্কার পাওয়ার পর একটি ভিডিও শেয়ার করে শ্রাবন্তী লিখেছিলেন, “আমি ভীষণ ভাবে উচ্ছসিত এবং সম্মানিত। বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পী আর অধ্যাবসায়ের মূল্য অবশেষে আমি পেলাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। এবার দিন মেটেনি আইডল শ্রী উত্তম কুমার স্মরণে এই পুরস্কার পেয়ে আমি ধন্যবাদ জানাই ঈশ্বরকে। ধন্যবাদ ভক্তদের’।
শ্রাবন্তীর এই পোস্টে শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গেলেও জনসাধারণের একাংশ শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। কেউ কেউ লিখেছেন, এতবার স্বামী বদল করে এবার দল বদল করতে এসেছেন। কেউ লিখেছেন, ভোটের আগে মমতার নামে কি কি বলেছিলে মনে আছে? কেউ আবার লিখেছেন, চটি চাটার দৃশ্য।
আরো পড়ুন: ভারতের এমন এক রহস্যময় জায়গা যেখানে আজও দেখা মিলে পরী’র
আপনারা যারা জানেন না তাদের বলি, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি তখন একটি টুইট করে লিখেছিলেন, যাদের মাথা গোজার ঠাই থাকে না তারা আবার ট্যাব কেনার বিলাসিতা করে। ঝড়েই চাল উড়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ এসে পৌঁছয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে। এটাই আমাদের পিসির উন্নয়ন।
বেহালা পশ্চিমকেন্দ্র থেকে শ্রাবন্তী বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু ৫০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। সেই স্মৃতি উস্কে দিয়ে আরো একবার কটাক্ষের সম্মুখীন করা হলো শ্রাবন্তীকে পুরস্কার পাওয়ার পর।