অ্যালবার্ট AI Anchor দিয়ে খবর পাঠ, বড়সড়ো চমক বাংলার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের

বর্তমানে মানুষ প্রতিদিনের জীবনে নিত্যনতুন প্রযুক্তিকে আপন করে নিচ্ছে এবং জীবনযাত্রার মানও ততই বদলে যাচ্ছ। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হল এআই। এআইর মাধ্যমে এখন প্রায় সব কিছুই করা যায়। ধীরে ধীরে প্রায় সব ধরনের কাজেই এআইর ব্যবহার বাড়ছে। চ্যাটজিপিটি (ChatGpt) আসার পর একের পর এক বদল আসছে। প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের অনেক সমস্যার সমাধান মিলছে সহজেই। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে এবার সংবাদমাধ্যমও পিছিয়ে নেই। বেশ কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম এআই সংবাদপাঠক ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

আরো পড়ুন: সরকারি স্কিমে মিলছে দুর্দান্ত রিটার্ন, মাত্র ১০০ টাকা করে জমিয়ে প্রতি মাসে মিলবে ৫৭ হাজার টাকার পেনশন

এবার বাংলার সংবাদমাধ্যমেও (News Anchor) আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার দেখা গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে বাংলার এক নিউজ পোর্টাল। সম্প্রতি খবর পড়ার ক্ষেত্রেও এআই সংবাদপাঠক (AI Anchor) ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ওডিশার এক সংবাদমাধ্যম। স্টিং নিউজ নামে বাংলার স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টাল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশনা করছে খবর। এআই সংবাদপাঠকের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যালবার্ট রায়ান। সুঠাম চেহারা, বিদেশিদের মতো দেখতে, স্যুট পরে গড়গড় করে বাংলায় সংবাদ পাঠ করছে অ্যালবার্ট।

দর্শকরা রীতিমতো অবাক হচ্ছেন রাজ্যের সংবাদমাধ্যমে এআই সংবাদপাঠকে খবর পড়তে দেখে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওই পোর্টালের সম্পাদক হালিম মণ্ডল বলেন, চ্যাটজিপিটি বা এআই ব্যবহারের ফলে চাকরি (Job) হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হলেও বর্তমানে যেই হারে এআইর ব্যবহার বাড়ছে, ফলতু এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে চাকরির অভাব হবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এআই সংবাদপাঠিকা লিসাকে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ওডিশার এক সংবাদমাধ্যম।

আরো পড়ুন: লিটিল ইন্ডিয়া নামে খ্যাত বিশ্বের এই দেশ! যেখানে সরকারি ভাষা হিন্দি,জানেন না অধিকাংশ মানুষজন

এআইকে (AI) কাজে লাগিয়ে এই অ্যাঙ্করকে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ওই সংবাদমাধ্যম। দেশের এক প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমও এআই সংবাদপাঠক ব্যবহার শুরু করেছে। আগামী দিনে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার দৌলতে সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।