২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এমন অনেক সিনেমা বক্স অফিসে এসেছিল, যা দর্শকদের মন জয় করেছিল, তবে আজ আমরা সেই সুপারস্টারের কথা বলতে চলেছি, যাঁর দুটি সিনেমা ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বক্স অফিস (Box Office) তোলপাড় করেছে। সেই সুপারস্টার আর কেউ নন, বিখ্যাত অভিনেতা আমির খান (Amir Khan)। বিশ্বজুড়ে বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ভক্তের অভাব নেই। তিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে অসাধারণ পরিচিতি তৈরি করেছেন।
তিনি গত ৩ দশক ধরে বলিউডে সক্রিয় রয়েছেন এবং তাঁকে বর্তমানেও চলচ্চিত্রে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর শেষ সিনেমা হলো ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Lal Singh Chaddha), যেটি বক্স অফিসে সফল হয়নি। শাহরুখ খান এবং সালমান খানের চেয়ে কম সিনেমাতে কাজ করলেও আমির খানের সিনেমাগুলো বেশিরভাগই হিট প্রমাণিত হয়েছে। আজ আমরা আমিরের সেই সিনেমাগুলি সম্পর্কে বলতে চলেছি, যেগুলি ২০০৮ এবং ২০০৯ সালের সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
আরো পড়ুন: এর আগেও একাধিকবার পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদিপুরুষের হনুমান
আমির খানের ফিল্ম ‘গজনি’ (Ghajini) ছিল ২০০৮ সালের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা, যেটি মুক্তির সাথে সাথে বক্স অফিসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই সিনেমাতে আমিরের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিখ্যাত অভিনেত্রী অসিনকে। সিনেমাটি বক্স অফিসে একটি ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছিল এবং একই সময়ে এটি বক্স অফিসে প্রায় ২৩২ কোটি আয় করতে সক্ষম হয়েছিল। ২০০৮ সালে শাহরুখ অভিনীত ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ নামক সিনেমাটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র এবং অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সিং ইজ কিং’ নামক সিনেমাটি তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র।
আরো পড়ুন: কীভাবে তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত জুতোর বিজ্ঞাপন ‘পায়ে পায়ে আনন্দ’, নেপথ্যে কাহিনী শোনানের নচিকেতা
২০০৯ সালে আমিরের ‘৩ ইডিয়টস’ (3 Idiots) ওই বছরের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় এক নম্বরে ছিল। আমিরের এই সিনেমাটি মুক্তির সাথে সাথে বক্স অফিসে সর্বকালের ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছিল। এই সিনেমার মোট বক্স অফিস সংগ্রহ ছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। আমিরের পাশাপাশি এই সিনেমাতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন করিনা কাপুর, আর মাধবন এবং শারমন জোশি। এই একই বছরে রণবীর কাপুরের ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’ ২০০৯ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল এবং সালমানের ‘ওয়ান্টেড’ তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র ছিল।