অক্সিজেন থেকে জ্বালানি! একাধিক বিরল সম্পদে ঠাসা চন্দ্রপৃষ্ঠ, খুব শিগগিরই খননকার্য চালাবে NASA

পৃথিবীর (Earth) একমাত্র উপগ্রহ হল চাঁদ (Moon) আর তাকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। পৃথিবীর (Earth) এত কাছে অবস্থান করে চাঁদ, তাই সেই চাঁদের বুকে সবার আগে পদার্পণ করেছিল মানুষ। বিভিন্ন সময়ে চাঁদের বুকে মহাকাশযান পাঠানোর ব্যবস্থাও করেছে নাসা (Nasa)। এবার আগামী দিনে চাঁদকে নিয়ে বড়সড়ো পরিকল্পনা রয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

আরো পড়ুন: জানুন বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের নাম, এই তালিকায় রয়েছে ভারতের ৫ টি শহরের নাম

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে বলা হয়েছে নাসা চাঁদের বুকে খনন কার্য(Lunar Mining) চালাবে তাদের অনুমান সেখানে রয়েছে বিরল সম্পদ। সেই সমস্ত সম্পদ তুলে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এই সমস্ত বিষয়টি এখনো শুধুমাত্র পরিকল্পনায় তা কবে বাস্তবে রূপ পাবে তা এখনো জানা যায়নি। আশা করা যাচ্ছে সমস্ত প্রক্রিয়া ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০৩২ সালের মধ্যেই খনন কার্য শুরু করবে নাসা। তার আগে দেখে নেওয়া যাক মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাতে চাঁদের মাটি থেকে কি কি পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান। তাঁদের মূল লক্ষ্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে অক্সিজেন ও জ্বালানি সংগ্রহ কারণ চাঁদে রয়েছে মূলত তিনটি উপাদান জল হিলিয়াম ও বিরল পার্থিবও ধাতু।

আরো পড়ুন: বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বউকে ডিভোর্স না দিয়েই লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এই ৬ সুপারস্টার

জল রকেটের জ্বালানিতে কাজে লাগবে, হিলিয়াম শক্তি উৎপাদন করার কাজে ব্যবহার করা যাবে, আর বিরল প্রার্থীব ধাতু হল scandium ও Yttrium নামে দুটি ধাতু যা বৈদ্যুতিন শিল্পকে আরো উন্নত করে তুলতে সাহায্য করবে।চাঁদের ভর ৭৩ কুইন্টাল টন প্রতিদিন যদি ১ মেট্রিক টন করেও তোলা হয় তাহলে এক শতাংশ ক্ষয় হতে সময় লাগবে ২২ কোটি বছর যা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।

চাঁদের এই সমস্ত সম্পদ ও মাটি যদি পৃথিবীতে তুলে আনা যায় তবে একমাত্র লাভবান হবে পৃথিবীই কারণ ওই সমস্ত পণ্য পৃথিবীতে সার্বিক জীবনের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। আপাতত বিনিয়োগকারীর সন্ধান চলছে কারণ মহাশূন্যে এত টাকা কেউ বিনিয়োগ কেন করবে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানার মতান্তর, আশা করা যাচ্ছে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান মিলবে।