বর্তমান সময়ে জেফ বেজোসকে সবাই চেনেন। জেফ বেজোস (Jeff Bezos) বিশ্বের অন্যতম একজন ধনী ব্যক্তি। তিনি অ্যামাজনের (Amazon) সিইও। আমাজন একটি ই-কমার্স সাইট, যা আজকের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাইট হয়ে উঠেছে, কিন্তু জেফ বেজোসের পক্ষে এই পর্যায়ে পৌঁছানো সহজ ছিল না। আসুন জেনে নেওয়া যাক জেফ বেজোসের সাফল্যের গল্প।
জেফ বেজোস (Jeff Bezos) ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে তাঁর কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৫ সালে এটি শুরু করেন। আগে বেজোস তাঁর এই কোম্পানীর নাম ক্যাডেব্রা ডট কম (Cadebra.com) রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রায় ৩ মাস পর তিনি এর নাম পরিবর্তন করে অ্যামাজন ডট কম (Amazon.com) রাখেন। ১৯৯৫ সালের ১৬ই জুলাই জেফ বেজোস (Jeff Bezos) তাঁর ওয়েবসাইটে বই বিক্রি শুরু করেন। প্রথম মাসে, অ্যামাজন আমেরিকার ৫০টি রাজ্য এবং ৪৫টি অন্যান্য দেশে বই বিক্রি করেছিল, কিন্তু তাদের পক্ষে এটি করা সহজ ছিল না।
আরো পড়ুন: নিয়ম না মানলেই খসাতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা! পশ্চিমবঙ্গে এক সঙ্গে কতটা মদ কেনা যায়?
বেজোসের (Jeff Bezos) কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হয়। তিনি ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি সপ্তাহে ২০,০০০ ডলার বিক্রি করতে শুরু করেন। কোম্পানীটি ২০০৭ সালের নভেম্বরে যখন অ্যামাজন কিন্ডল ই-বুক রিডার চালু করে তখন একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নেয়। এর ফলে বইটি অবিলম্বে ডাউনলোড করে পড়া যায়। এই কারণে কোম্পানীটি বিপুল মুনাফা লাভ করে। এর ফলে একদিকে কিন্ডলের বিক্রি বাড়ে এবং অন্যদিকে কিন্ডল ফরম্যাটে পড়া বইয়ের বিক্রিও বাড়ে।
আরো পড়ুন: ভারতের এমন এক রহস্যময় জায়গা যেখানে আজও দেখা মিলে পরী’র
এটি সমস্ত গ্রাহকদের জন্য খুব সুবিধাজনক ছিল, কারণ তাদের আর বইটি আসার জন্য অপেক্ষা করতে হতো না এবং তাদের পছন্দের বইটি কয়েক মিনিটের মধ্যে তাদের কাছে পৌঁছে যেত। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, বেজোসের মোট সম্পত্তি রয়েছে ৮.২৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি এবং তাঁর কোম্পানী অ্যামাজনের (Amazon) মূল্য ৬৬.৩২ লক্ষ কোটি টাকা।