ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Industries) প্রধান মুকেশ আম্বানির কন্যা ইশা আম্বানি (Isha Ambani) , মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) ব্যবসায় নামতে চলেছেন৷ বর্তমানে, ইশা আম্বানির জিও, বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ব্ল্যাক রকের সাথে চুক্তি করেছে এবং জিও ব্ল্যাক রক (Jio Black Rock) নামে একটি যৌথ উদ্যোগ গঠন করেছে। ব্ল্যাক রকের পরিকল্পনা হলো প্রযুক্তি এবং ডেটার সাহায্যে বিনিয়োগকারীকে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করা। প্রাথমিক মূলধন হিসেবে জিওর এই বিশাল উদ্যোগে ২৩৮০কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন: সরকারি স্কিমে মিলছে দুর্দান্ত রিটার্ন, মাত্র ১০০ টাকা করে জমিয়ে প্রতি মাসে মিলবে ৫৭ হাজার টাকার পেনশন
কম খরচে প্যাসিভ প্রোডাক্ট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জিও ব্ল্যাক রক। জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (Jio Financial Services), রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ২০,৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়েছে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বর্তমানে ৪০টিরও বেশি প্রতিযোগী রয়েছে, যেমন এসবিআই (SBI), আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি, কোটাক মাহিন্দ্রা, আদিত্য বিড়লা সান লাইফ, অ্যাক্সিস প্রভৃতি, যাদের এই শিল্পে ব্যবসার ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এই ঋণদান ব্যবসায় উপস্থিত রয়েছে পেটিএম (Paytm), ফোনপে, সিম্পল এবং ক্রেডের মতো কোম্পানীগুলি।
গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম ব্রোকারেজ ফার্ম জিরোধা (Zerodha), মিউচুয়াল ফান্ড পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এটি শীঘ্রই সেবি (SEBI) থেকে অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইশা আম্বানির জিও ফিনান্স ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনের আদলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা করেছে। ব্ল্যাক রকের (BlackRock) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আলাদিনকে ভারতের জন্য একটি নিখুঁত পরিকল্পনা হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। বিশ্বের ২০০টিরও বেশি কোম্পানী আলাদিন ব্যবহার করছে।
আরো পড়ুন: লিটিল ইন্ডিয়া নামে খ্যাত বিশ্বের এই দেশ! যেখানে সরকারি ভাষা হিন্দি,জানেন না অধিকাংশ মানুষজন
জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (Jio Financial Services) ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম এনবিএফসি হয়ে উঠেছে এবং এর মূল্য ১.৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। গত ৭ বছরে, মুকেশ আম্বানী সমস্ত টেলিকম সংস্থাকে পিছনে ফেলে জিওকে দেশের বৃহত্তম সংস্থায় পরিণত করেছেন। তিনি তাঁর অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করছেন। রিলায়েন্স রিটেলের ১৮,৫০০টিরও বেশি স্টোর এবং জিওর ৪৪.৮৫ কোটিরও বেশি গ্রাহকদের সহায়তায় মুকেশ আম্বানি তাঁর পরিকল্পনার সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। আগামী ৪ থেকে ৭ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে।