Indian Railways: রেলগাড়ি রেলগাড়ি, রাত দুপুরে দেয় পাড়ি, যায় পেরিয়ে স্টেশন রেল গাড়ি যাই বর্ধমান। সত্যজিতের সিনেমা হোক অথবা ইতিহাসের পাতায় এই রেলগাড়ির গল্প শুনেই বড় হয়েছি আমরা। বেশিরভাগ মালগাড়ি এবং মেলগাড়ি অনেকটাই বড় হয় দৈর্ঘ্যে। কোনোটির বগি থাকে ১৮ টি কোনটি আবার ২০। তবে কখনো কি শুনেছেন এমন একটি ট্রেন রয়েছে আমাদের ভারতবর্ষে (India), যে ট্রেনের মধ্যে রয়েছে ছ’টি ইঞ্জিন(Engine)।
এবার নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে মনে, যে গাড়িতে ৬ টি ইঞ্জিন থাকতে পারে সেই গাড়িতে না জানি ক’টি কোচ থাকবে? ভারতের দীর্ঘতম এই ট্রেনটি হার মানিয়ে দেবে যে কোনো বড় সেতুকে। এই ট্রেনটির নাম সুপার বাসুকি ট্রেন। ট্রেনটিকে বলা হয় ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন (Indian Railways)। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বার্ষিকীতে এই ট্রেন চালু করা হয়।
ট্রেনে রয়েছি প্রায় ২৯৫টি কোচ, দৈর্ঘ্য ৩.৫ কিলোমিটার। তবে এটি কোন যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, বরং এটি একটি পণ্যবাহী ট্রেন। প্রতিদিন ছত্রিশগড়ের করবা থেকে ২৭,০০০ টন কয়লা নিয়ে নাগপুরের রাজনন্দগাঁও অতিক্রম করে এই ট্রেন। দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ১১.২০ ঘন্টা। ট্রেনটির দৈর্ঘ্য যেমন বেশি ট্রেনটির ধারণ ক্ষমতাও সাধারণ ট্রেনের থেকে তিন গুণ বেশি। এই চ্যানেলটিকে একটি বিরাট বড় পণ্য ট্রেনের চেহারা দেবার জন্য ৫টি পণ্য ট্রেনকে একসঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: মাত্র ১৭ বছর বয়সে দুর্দান্ত আইডিয়া লাগিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা আজ ৭ হাজার কোটি টাকার মালিক
সাধারণ ট্রেনের থেকে এই ট্রেনে ধারণ ক্ষমতা তিনগুণ বেশি। সাধারণত ট্রেনগুলি প্রত্যেকটি স্টেশন পার হতে যেখানে দুই মিনিট সময় নেয় সেখানে এই ট্রেনটি সময় নেয় ৪ মিনিট। জানিয়ে রাখি, রেলওয়ে এর আগেও অ্যানাকোন্ডা এবং শেষনাগের মতো ট্রেন চালু করেছিল যার দৈর্ঘ্য বাসুকির থেকে অনেক টাই বেশি ছিল। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম ট্রেন হল দ্য অস্ট্রেলিয়া বি এইচ পি আয়রন। এটি দৈর্ঘ্য ৭.৩৫৩ কিলোমিটার।