সম্প্রতি ভারত (India) ও নেপালের মধ্যে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তঃসীমান্ত রেলপথের (Indian Railways) তৈরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে কুর্থা থেকে বিজলপুরা এই দীর্ঘ ১৭.৩ কিলোমিটারের রেল সেকশনটি চালু হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ই জুলাই নেপালের পরিবহন মন্ত্রী প্রকাশ জ্বালা, এই নতুন রেল সেকশনের উদ্বোধন করেন। ভারতীয় দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে। এই ১৭.৩ কিলোমিটার যাত্রাপথে কুর্থা, পিপরাদি, লোহারপট্টি, সিংগাহি এবং বিজলপুরা নামে এই পাঁচটি স্টেশন থাকবে।
আরো পড়ুন: ভারতবর্ষে থাকেন অথচ INDIA কথাটির পুরো অর্থ জানেন না?
বলা বাহুল্য, গত বছর এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পটির প্রথম ধাপ হিসেবে বিহারের (Bihar) জয়নগর থেকে নেপালের কূর্থা পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল এবং জয়নগর – কুর্থা বিভাগে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে। সেগুলি হলো ভারতের জয়নগর, ইনারওয়া (সীমান্ত স্টেশন), খাজুরি, মহিনাথপুর, বাইদেহী, পারওয়াহা, জনকপুর এবং কুর্থা। এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের পেছনে ভারত সরকার মোট ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এই প্রসঙ্গে নেপালের জনকপুরধাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক মনোজ শাহ জানান যে, এই ট্রেন পরিষেবার ফলে পর্যটকদের যাতায়াত বেড়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে।
সরকার বর্তমানে এই ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের তৃতীয় ধাপের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিজলপুর ও বারদিবাসের মধ্যে সম্ভাব্য রেলপথের জন্যে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের ওপর আলোচনা শুরু করেছে। অপরদিকে, ভারতের ত্রিপুরা (Tripura) ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্মাণাধীন রেললাইনের জন্য রেলপথ মন্ত্রালয় জুন মাসের শেষে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এই রেল সংযযোগের কাজটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে সম্পন্ন হবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রাপথের সময়সীমা কমানোর উদ্দেশ্যে এই রেললাইন (Indian Railways) প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: চন্দন কাঠের সেতার-মূর্তি থেকে দামি ইক্কত শাড়ি! জানুন প্যারিসে গিয়ে কী কী উপহার দিলেন নরেন্দ্র মোদী?
এটি ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার (Kolkata) মধ্যে ভ্রমণের সময়সীমা ৩১ ঘন্টা থেকে ১০ ঘন্টা কমিয়ে আনবে। ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” অনুযায়ী এই প্রকল্প গুলিকে হাতে নেওয়া বা তাদের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও এশিয়া – প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই হলো এই অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্য।