এক সময় আফ্রিকা মহাদেশের দু চাকার বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল চিনা সংস্থাগুলির। চিনের প্রায় ১৬০টি সংস্থাকে পিছনে ফেলে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশে আধিপত্য বিস্তার করেছে ভারতে তৈরি বাইকগুলি, যেমন বাজাজ অটো (Bajaj Auto) এবং টিভিএস (TVS)। এই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে না পেরে অনেক চিনা সংস্থার ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। ভারতেরএই দুই সংস্থার সামনে টিকতে পারেনি চিনের একাধিক দুই চাকার সংস্থা।
বর্তমানে ১০০টির বেশি দেশে রফতানি হয় ভারতে (India) তৈরি বাইক। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাজাজ, ভারতে বিক্রির তুলনায় বিদেশে বেশি পরিমাণে রফতানি করে। ভারতে দু চাকা বাজারে ৪৬ শতাংশ বাজার রয়েছে বাজাজ অটোর।পৃথিবীর ৯০টি দেশে বাজাজ পালসার, বক্সারের মতো বাইক বিক্রি হয়। এই ৯০টি দেশের মধ্যে ৫০ শতাংশ আফ্রিকান দেশ, ২০ শতাংশ লাতিন আমেরিকা, ২০ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়া এবং বাকি ১০ শতাংশ আশিয়ান দেশ।
আরো পড়ুন: ১ বছর নাকি ২ বছর! স্মার্টফোনের আয়ু কত দিন? আসল সত্যিটা জেনে কপালে উঠবে চোখ
পৃথিবীর ৮০টি দেশে বিক্রি হয় টিভিএসের (TVS) বাইক। আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপের একাধিক দেশে এই বাইক দেখতে পাওয়া যায়। বিদেশে টিভিএসের রফতানি হওয়া সবথেকে জনপ্রিয় বাইককগুলির মধ্যে রয়েছে, টিভিএস এইচএলএক্স (TVS HLX) সিরিজ, টিভিএস রাইডার এবং টিভিএস নিও সিরিজ। এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান প্রভৃতি ৪০টির বেশি দেশে বিক্রি হয় ভারতের বৃহত্তম বাইক সংস্থা হিরো মোটোক্রপের (Hero MotoCorp) বাইক।
আরো পড়ুন: ফের ইতিহাস গড়তে চলেছে ISRO বিজ্ঞানীরা, মহাকাশে পাঠাতে চলেছেন ৭ টি কৃত্রিম উপগ্রহ
সংস্থার রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৭১ শতাংশ। ২০২২ সালে ভারতে লঞ্চ হয় হান্টার ৩৫০, যা চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ২ লাখ বিক্রি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স, ভারত সহ একাধিক দেশ এই বাইকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। রফতানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি চর্চায় চলে এসেছে রয়্যাল এলফিল্ড (Royal Enfield)।