আধুনিক সময়ে, ভারত (India) তার উন্নতির পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিশ্বকে আকৃষ্ট করেছে। কিছু বিদেশী সংস্থা দাবি করেছে যে, ভারত আগামী দিনে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। এমনকি, আমেরিকার মতো দেশকেও পিছিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ব্রিটিশরা, ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট না করলে আধুনিক সময়ে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ হতো।
ব্রিটিশরা (British) এখান থেকে অর্থ ও অতি মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেওয়ার কারণে স্বাধীনতার কাছাকাছি সময়ে দেশে অনাহার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে ভারতের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাপান ১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে ২০ শতকের গোড়ার দিকে এক ব্যাপক শিল্পায়ন অভিযান পরিচালনা করে, যেমন পণ্য রপ্তানি এবং পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি, রেলওয়ে এবং টেলিগ্রাফ নির্মাণ এবং বিভিন্ন শিল্প নির্মাণ প্রভৃতি।
আরো পড়ুন: জিতেছে পাঁচ পাঁচ টি বিশ্বকাপ, অথচ বিশ্বে নেই এই দেশের কোন অস্তিত্ব!
ভারতের কাছে সেইসময় শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য এবং পশ্চিম থেকে মেশিন ও প্রযুক্তি আমদানি করার জন্য খুব কম অর্থ ছিল। এর পাশাপাশি ভারতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ইটির (ET) রিপোর্ট অনুসারে, অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ উৎসা পাটনায়েক ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় প্রকাশ করেছেন যে, ব্রিটিশরা ১৭৬৫ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন অর্থ লুট করেছে, যা আজ ব্রিটেনের বার্ষিক জিডিপির ১৫ গুণ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর (East India Company) ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রণের সময়, ভারতীয় উৎপাদকদের পণ্য রপ্তানির জন্য কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ভারতীয় পণ্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে, ব্রিটিশ ক্রাউনের অধীনে, ভারতীয় পণ্যের বিদেশী ক্রেতারা বিনিময়ের বিল দিয়ে পরিশোধ করতেন, যা সোনা বা ব্রিটিশ মুদ্রায় কেনা হয়েছিল। ভারতে সংগৃহীত এসব জিনিস লন্ডনে স্থানান্তর করা হয় এবং এক তৃতীয়াংশ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: লটারি খেলার সময় কোন কোন সংখ্যাকে দেবেন বেশি গুরুত্ব? জানুন বিস্তারিত
ভারতীয় রপ্তানি আয় ব্রিটেনে (Britain) থেকে যায় এবং রপ্তানির বিনিময়ে ভারতীয়রা যে অর্থ পায়, তা ভারতে ব্রিটিশ সরকারকে কর হিসাবে দেওয়া হয়, যার অর্থ হল ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য অনেক বেশি দামে রপ্তানি করে ব্রিটেন লাভ করেছে। ব্রিটেন এইভাবে তার শাসন সম্প্রসারণ করতে এবং আমেরিকা ও ইউরোপে অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করে।