নানা জাতি নানা ধর্মের মানুষের মিলনস্থল আমাদের এই ভারতবর্ষ (India)। আমাদের ভারতের মধ্যে রয়েছে বহু শিল্প-সংস্কৃতি, যা ভারতের ঐতিহ্যকে আরো বেশি সুন্দর করে তোলে। ভারতের গ্রামেগঞ্জে এমন অনেক সংস্কৃতি রয়েছে যা এখনো হারিয়ে যায়নি এবং এই সংস্কৃতিগুলি ভারতকে অন্য সমস্ত দেশের থেকে আলাদা করে রাখে।
হিমাচলপ্রদেশের(Himachal Pradesh) কুল্লু জেলার মণিকরণ উপত্যকার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম পিনি। আজ আমরা এই গ্রামের এক প্রাচীন রীতিনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্ষাকালে এই গ্রামে একটি বিশেষ উৎসব পালিত হয়, যেখানে গ্রামের সবাই পালন করেন এক বিশেষ রীতি। পাঁচ দিন ব্যাপী এই উৎসবে গ্রামের কোন মহিলারা (Women) কোনো পোশাক পড়ে থাকেন না।
আরো পড়ুন: যেন হাতের লেখা তো নয় কম্পিউটারে লেখা,বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী,যার সামনে হার মানবে কম্পিউটারও
এই পাঁচদিন একেবারে নগ্ন অবস্থায় গ্রামের প্রত্যেকটি নারী ঘরবন্দি অবস্থায় থাকেন। শুধু তাই নয়, এই সময় হাসাহাসি করা তো দূরের কথা মুখে কোন হাসির লেশমাত্র দেখা যায় না গ্রামের নারীদের মুখে। স্বামীর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে যৌন মিলন সবকিছুই বন্ধ থাকে এই পাঁচ দিন।
তবে এই পাঁচ দিন ছেলেরাও একটি নিয়ম মেনে চলেন। পাঁচ দিন কোন মদ বা মাংস স্পর্শ করেন না গ্রামের কোন পুরুষ। গ্রামীণ বিশ্বাস অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের প্রথম দিন এক অশুভ শক্তি নাকি মহিলাদের বস্ত্র ছেড়ে তাদের শ্লীলতাহানি করেছিল, তখন গ্রামের আরাধ্য দেবতা সেই নারীদের অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করেন।
আরো পড়ুন: Optical Illusion: ছবিটিতে প্রথমে কী দেখছেন ব্যাঙ নাকি ঘোড়া, ছবির উত্তরই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব
সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে একটি বিশাল উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং আরাধ্য দেবতার উদ্দেশ্যে এই পাঁচ দিন নগ্ন অবস্থায় থাকেন গ্রামের প্রত্যেক মহিলারা। শেষ দিনে নিজেদের সমস্ত জামাকাপড় জলে বিসর্জন দিয়ে উলের বস্ত্র দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেন তারা। সময়ের সাথে সাথে সেই প্রথার বিধি-নিষেধ এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে। এখন আর সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় থাকেন না নারীরা বরং ওই পাঁচ দিন একটি পাতলা কাপড় পড়ে থাকেন তারা। তবে বয়স্ক মহিলারা এখনো কঠোরভাবে সেই নিয়ম মেনে চলেন।