মুসলিমদের থেকে কোটি টাকার অফার পেলেও নিজের প্রাণের থেকে প্রিয় ভেড়া ছাড়তে নারাজ হিন্দু মেষপালক

উল্টো রথের ঠিক পরের দিন ছিল বকরি ঈদ। এই ঈদে মুসলিমরা তাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গরু ছাগল অথবা ভেড়া কিংবা উট উৎসর্গ করে থাকেন। তেমন একটি ভেড়ার মূল্য এক কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছিল, কিন্তু কোটি কোটি টাকা পেলেও প্রাণের থেকে প্রিয় ভেড়াকে(Sheep) হাতছাড়া করতে চাইনি মেষপালক।

২৯ শে জুন অর্থাৎ ঈদ উল আজহার পালন হওয়ার ঠিক আগের সন্ধ্যায় রাজস্থানের চুরু জেলায় এই বিষয়টি নিয়ে বেধে গেল হৈচৈ কান্ড। রাজস্থানের বাসিন্দা রাজু সিং(Raju Singh) নামে এক মেষপালকের থেকে একটি ভেড়া কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। সকলেই চাইছেন রাজুর থেকে ওই ভেড়াটি কিনে নিতে। ৭০ লাখ টাকা থেকে দাম শুরু হয়ে সেই দাম গিয়ে দাঁড়ায় এক কোটি টাকা পর্যন্ত। কিন্তু কেনো?

আরো পড়ুন: কেবলমাত্র জিনিয়াস লোকেরাই পারবেন ৯৬ এর ভিড়ের মধ্যে ৬৯ সংখ্যাটিকে খুঁজে বের করতে

আসলে এই ভেড়াটি যা তা ভেড়া নয়। আর পাঁচটা সাধারণ ভেড়ার মতো একেবারেই নয়। স্থানীয় মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ভেড়াটির একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই ভেড়াটির গায়ে লেখা রয়েছে ৭৮৬ নম্বর এবং আপনি খুব ভালোভাবেই জানেন মুসলিমদের(Muslim) কাছে এই নম্বরটি কতখানি পবিত্র।ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহ শব্দটি উচ্চারণ করার সময় এই শব্দটি উচ্চারণ করে থাকেন।

রাজস্থানের এই ভেড়াটি তেমনি একটি পবিত্র ভেড়া বলে মনে করছেন মুসলিমরা। স্বাভাবিকভাবেই সকলেই এই ভাইয়াটি নিজের কাছে রাখতে চান কিন্তু কোনভাবেই ভেড়ার মালিক সেটিকে বিক্রি করতে চান না। এই প্রসঙ্গে কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাজু সিং বলেন, আমার কাছে ভেড়ার গায়ে লেখা এই শব্দটির অর্থ বোঝা সম্ভব ছিল না। কিছু মুসলিম পরিচিতর কাছ থেকে জানতে পারি এই সংখ্যাটি অত্যন্ত পবিত্র এবং এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

আরো পড়ুন: কেবলমাত্র জিনিয়াস লোকেরাই পারবেন GOLD এর ভিড়ের মধ্যে COLD শব্দটি খুঁজে বের করতে

কিন্তু মুসলিমদের কাছে এর গুরুত্ব থাকলেও রাজু নিজের মায়া ত্যাগ করতে একেবারেই নারাজ। কোন ভাবেই তিনি নিজের প্রাণের থেকে প্রিয় ভেড়াটি বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে কেউ এই ভেড়াটি কিনতে না পারলেও ভেড়াটিকে অনেকেই বেদানা পেঁপে সবজি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। ওই দুধের সাধ ঘোলে মেটানো আর কি।