জীবনে সাফল্যের ৩ টি মহামন্ত্র সকলের সামনে তুলে ধরলেন গৌতম আদানি

ভারতের বিখ্যাত ব্যবসায়ী গৌতম আদানি (Goutam Adani) হলেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন। এক কথায় গৌতম আদানিকে ভারতের সকল ব্যক্তিই চেনেন। এই স্থান অর্জনের জন্য তাঁকে যে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাই বলায় বাহুল্য। গৌতম আদানি ইন্ডিয়া টিভির “আপ কি আদালত” নামক অনুষ্ঠান হাজির হয়ে নিজে জীবনের সংগ্রাম এবং ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি তাঁর শ্রোতা এবং ভক্তদের জানান কীভাবে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক গৌতম আদানির সাফল্যের পেছনে রহস্য সম্পর্কে।

আরো পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করে Isha Ambani হয়ে যাবেন ধনী, এই ৬ টি কারণে ব্যবসা সাফল্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস্য Jio

আপনাদের জানিয়ে রাখিযে, গৌতম আদানি (Goutam Adani) ১৯৬২ সালের ২৪শে জুন গুজরাটের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই গৌতম আদানির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। এমতাবস্থায় মাঝপথেই পড়ালেখা ছেড়ে দেন। এরপর মুম্বাই আসেন, সেখানে দিনরাত পরিশ্রম করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি এক্সপোর্ট লিমিটেডের ভিত্তি স্থাপন করেন। এরপরে তিনি ধীরে ধীরে সফল হতে শুরু করেন এবং তারপর তিনি অনেক ধরনের ব্যবসায় অগ্রসর হন এবং তাতে প্রচুর সাফল্য পান। বর্তমানে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছেন।

Goutam Adani
“আপ কি আদালত” (Aap Ki Adalat) নামক অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় গৌতম আদানি বলেন, “অর্থ উপার্জনের কোনো ফর্মুলা নেই। ব্যাবসা বা ব্যবহারিক জীবনে একটাই ফর্মুলা কাজ করে, পরিশ্রম, পরিশ্রম এবং পরিশ্রম.. তারপর আমি আমার পরিবার, আমার দলের সমর্থন এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেয়েছি। দেশের উন্নতিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।” তিনি আরো বলেন, “আমার বয়স যখন ১৫ বছর ছিল, তখন আমি দশম শ্রেণী পাস করেছিলাম। পারিবারিক পরিস্থিতি এমন ছিল যে, আমি পড়াশোনা শেষ না করেই মুম্বাই চলে যাই। আমি চার বছর মুম্বইয়ে ছিলাম, তারপর আমি আহমেদাবাদে ফিরে আসি।”

“মুম্বাই আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, সেখানে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে শিখেছি। এরপর আমার ব্যবসার ভিত্তি তৈরি হয়। পড়াশুনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পড়তাম, তবে হয়তো আজকের গৌতম আদানির চেয়েও ভালো হতাম। আমি মনে করি, আমার জীবনের বিভিন্ন সময়ে অনেকেই আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি বিশ্বাস করি যে, শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি একজন ব্যক্তিকে জ্ঞানী করে তোলে। আমরা মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী পরিবার। আমার পরিবারও অনেক সাপোর্ট করেছে।” এই সময় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রজত শর্মা গৌতম আদানিকে জিজ্ঞাসা করেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছ থেকে তিনি কী সাহায্য পেয়েছিলেন?

আরো পড়ুন: না ঘুমিয়ে সুস্থ রয়েছেন ৬০ বছর, ভিয়েতনামের এই বৃদ্ধের রহস্যের কিনারা করতে পারেননি বিজ্ঞানীরাও

এর উত্তরে গৌতম আদানি (Gautam Adani) বলেন, “আমি জীবনে তিনটি বড় ব্রেক পেয়েছি। প্রথমত, ১৯৮৫ সালে আমাদের কোম্পানী একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। দ্বিতীয়ত, ১৯৯১ সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব করতে পারতাম। এর ফলে দেশের পরিকাঠামোতে একটি নতুন দিক নির্দেশিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী যখন ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন একটি ভাল অভিজ্ঞতা ছিল, তবে আমি বলতে চাই যে, আপনি মোদীজির সঙ্গে নীতি নিয়ে কথা বলতে পারেন, দেশের স্বার্থে আলোচনা করতে পারেন, তবে তাঁর কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত সাহায্য নিতে পারবেন না।”