গোয়ালিয়র রাজ পরিবারের কথা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন আপনি। ৪০০ টি কক্ষের বিলাসবহুল প্রাসাদে রয়েছে ৩৫০০ কেজির একটি ঝাড়বাতি। আনুমানিক ৪ হাজার কোটি টাকার এই প্রাসাদের উত্তরাধিকারী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হলেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে আজ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jhotiraditya Scindia) কথা আমরা বলবো না বরং আমরা বলব তারা একমাত্র পুত্র মহাআর্যমন সিন্ধিয়ার (Mahanaaryaman Scindia) কথা।
এবার আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই আর্যমন কি কিছু কাজ করেন নাকি শুধু বাবার ছত্রছায়ায় বড় হচ্ছেন? হ্যাঁ ,রাজ পরিবারের ছত্রছায়া অগ্রাহ্য করে একেবারেই পৃথক ব্যবসা শুরু করেছেন মহাআর্যমন। গত বছর তিনি একটি নতুন স্ট্যাটাস তৈরি করেছেন যার নাম MY Mandi।
আরো পড়ুন: মুকেশ আম্বানি ও রয়েছেন তার পিছনে ইনি হচ্ছেন রিলায়েন্সের সর্বোচ্চ বেতনভোগী কর্মচারী, জানুন পরিচয়
বন্ধু সুর্যশ রানার সাথে মিলিত হয়ে এই স্টার্টআপ শুরু করেছেন আর্যমন। মূলত এটি একটি এগ্রিকালচার স্টার্টআপ। এই কোম্পানি ফল এবং সবজি সম্পর্কিত ব্যবসা দেখাশোনা করে। MY Mandi হলো একটি অনলাইন এগ্রিকেটার, যেটি ফল এবং সবজি সরবরাহ করে।
বর্তমানে জয়পুর, নাগপুর, আগ্রা এবং গোয়ালিয়র এই চারটি শহরে ব্যবসা করছে কোম্পানিটি। মাত্র ১ বছরের কম সময়ের মধ্যেই প্রায় ১ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে এই কোম্পানি। এটি সাক্ষাৎকার মহাআর্যমন জানিয়েছেন, তিনি নিজেই পণ্য কিনতে বাজারে যান। পরিচয় লুকানোর জন্য মুখ ঢেকে থাকেন এবং কৃষকদের সাহায্য করেন। তাঁর অনুমান, এই কোম্পানির মাসিক আয় আগামী কিছু বছরের মধ্যেই সাড়ে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে।
আরো পড়ুন: আগামী আগস্ট মাসে লঞ্চ হতে চলেছে Royal Enfield-এর নতুন বুলেট, রইলো বাইকের খুঁটিনাটি
প্রসঙ্গত বলে রাখি, মহাআর্যমন দুন স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তারপর গ্রাজুয়েশনের জন্য গিয়েছিলেন গেইল বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের সাথেও কিছু মাস কাজ করেছিলেন তিনি। এখন বাবাকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের ব্যবসার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে কাঁধে তুলে নিয়েছেন মহাআর্যমন।