আবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিল ভারতের গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) তৈরি চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) । ভারতের এই সাফল্য প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। ভারতের চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) পাঠানোর দিনেই নাসা প্রকাশ করলো মহাকাশের এমন সব ছবি, যা দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিজ্ঞানমনস্ক সাধারণ মানুষ অবাক হবেন। নাসা তাদের পাঠানো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের ফটোগুলি তুলেছে।
আরো পড়ুন: কেউ পেরোতে পারেন নি স্কুলের গণ্ডি, আবার কেউ কলেজের! বলিউড তারকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে লজ্জায় লাল হবে মুখ
এই অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের (Telescope) সাহায্যে পৃথিবী থেকে ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরের এই মলিকিউলার ক্লাউড ও স্টার ফরমেশন রিজিয়নগুলির পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। বলাবাহুল্য ২০২১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ফ্রান্সের গিয়ানা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি এবং এটিকে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৬ লক্ষ মাইল দূরের দ্বিতীয় লাংরেজ পয়েন্ট নামক কক্ষ পথে পাঠানো হয়।
শক্তিশালী এই টেলিস্কোপটির (Telescope) মাধ্যমে মহাবিশ্বের নানা অজানা রহস্য উদঘাটিত হয়ে চলেছে, যেমন বিশ্বের প্রথম নেবুলার আলো বা বিশ্বের প্রথম তারার আলো খোঁজার কাজ করে চলেছে টেলিস্কোপটি। গত বছরের ১১ই জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটির পাঠানো মহাবিশ্বের রঙিন বিস্ময়কর ছবিগুলো উন্মোচন করেন এবং টেলিস্কোপের পাঠানো ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়ে যায়।
পরবর্তীকালে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি ক্যারিনা নেবুলা নামক গ্যাসীয় মণ্ডল বা কসমিক ক্লিফের ফটো পাঠায়। এই কসমিক ক্লিফ বা গ্যাসীয় মণ্ডল থেকে নতুন তারার সৃষ্টি হয়। টেলিস্কোপের (Telescope) তোলা এই সকল ছবিগুলোতে পাহাড় বা উপত্যকার মত অংশ দেখতে পাওয়া গেছে, যা আসলে ঠিক কি তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। নাসার এই টেলিস্কোপটি ইতমধ্যে ৬টি ছায়া পথের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
আরো পড়ুন: না শ্রীদেবী,না মাধুরী,না আলিয়া! ১০০ কোটির ক্লাবে প্রথম নাম লেখান বলি পড়ার এই অভিনেত্রী, আজও স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করছে তার নাম
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) সূত্রে খবর, ওই ছায়াপথগুলিতে রয়েছে পেগাসাস নক্ষত্রমণ্ডলী। বৃত্তাকার একটি আবর্তের মধ্যে রয়েছে ওই ছায়াপথগুলি। যাকে ‘স্তেফানের কুইন্টেট’ বলে উল্লেখ করেছেন নভশ্চররা। প্রযুক্তিগত দিক থেকে আধুনিক এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটির প্রাথমিক আয়নাটি তৈরি হয়েছে ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত বেরিলিয়াম দিয়ে, যেগুলি একসাথে একটি ২১ ফুটের ডায়ামিটার যুক্ত একক আয়না তৈরি করে, যার মাধ্যমে এই টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের গ্যাসীয় কণা বা মলিকিউলার ক্লাউডের মধ্যে দিয়ে ইনফ্রারেড প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছবি তুলতে সক্ষম হয়। ভারতের চন্দ্র যান ৩এর উৎক্ষেপণের দিন নাসার এই ছবি প্রকাশের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ এবং পরবর্তী কালে এই দুই সংস্থা গবেষণা ক্ষেত্রে আরো কাছে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।