চাঁদের দিকে পা বাড়িয়েছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথের নেতৃত্বে দলটি ভারতকে গর্বিত হওয়ার আরেকটি সুযোগ দিয়েছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ, চন্দ্রযান-৩ মিশন শুরুর প্রথম দিন থেকে খবরের শিরোনামে রয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ইসরোর চেয়ারম্যানের সম্পর্কে কিছু কথা। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ ১৯৬৪ সালের জুলাই মাসে কেরালার আলাপ্পুঝারের অরুরে এক দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পুরো নাম শ্রীধরা পানিকার সোমনাথ। সোমনাথ ছোটবেলা থেকেই এক শিক্ষিত, ধনী পরিবারে বেড়ে উঠেছেন।
২০২২ সালের ১২ই জানুয়ারি ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বসেন তিনি। কাজে প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার প্রাথমিক পাঠ পেয়েছিলেন তাঁর বাবার থেকে। তাঁর বাবা তাঁকে শিখিয়েছিলেন কাজের গুরুত্ব। বরাবরই সব কাজে পরিবারের সমর্থন পেয়ে আজ সোমনাথ সুপ্রতিষ্ঠিত। ছোট থেকে মেধাবী ছাত্র সোমনাথ। তাঁর আগ্রহ ছিল বিজ্ঞানে। তিনি সেন্ট অগাস্টিন হাই স্কুল থেকে স্কুলের পড়াশোনা শেষের পর ভর্তি হন এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজে। সেখান থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। তিনি গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের টিকেএম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯৫ সালে ব্যাঙ্গালোরের আইআইএসসি (Indian Institute of Science) থেকে মহাকাশ প্রকৌশল এবং গতিবিদ্যা নিয়ন্ত্রক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
আরো পড়ুন: ইসরাইলের ডাক্তারেরা করে দেখালেন অলৌকিক চমৎকার, জুড়ে দিলেন গলা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মাথা!
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরি করেছেন। পরে আবার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) মাদ্রাজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে (VSSC) প্রথম চাকরি পান। সেই বছরে তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের (PSLV) প্রজেক্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর তিনি ২০১০ সালে জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল এমকে৩এর (GSLV MK3) প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। শ্রীধরা সোমনাথ প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি প্রায় ৪ বছর ধরে স্পেস অর্ডিন্যান্স স্ট্রাকচার এন্টিটির ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেন।
২০১৫ সালে তিনি লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর এবং ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের (VSSC) ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় সোমনাথের অবদান অপরিসীম। মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি, পাইরোটেকনিক, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং, গতিবিদ্যাতেও রয়েছে তাঁর অবদান। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তামিলনাড়ুর এসআরএম (SRM )বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর তাঁকে ডক্টরেট অফ সায়েন্সে ভূষিত করে। তিনি প্রতি মাসে প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা বেতন পান। তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ থেকে ৬ কোটি টাকা। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৯ বছর। তিনি বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান তথা একজন মহাকাশ প্রকৌশলী এবং রকেট বিজ্ঞানী।
আরো পড়ুন: পৃথিবীতে রয়েছে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল, কোথা থেকে এলো পৃথিবীতে এত পরিমাণ জল? রহস্য উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা
তাঁর এই খ্যাতির রয়েছে তাঁর বহুদিনের পরিশ্রম। মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং, মহাকাশযানের গতি, বিস্ফোরক প্রক্রিয়া অন্যান্য ক্ষেত্রে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নেপথ্য়ে রয়েছে তাঁর অবদান। এস সোমনাথের (S Somnath) স্ত্রীর নাম ভালসালাকুমারী। তাঁদের দুই যমজ সন্তান রয়েছে। দুই জনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ছেলের নাম মাধব, মেয়ের নাম মালিকা। বর্তমানে বয়স ৫৯ বছর। তিনি বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান তথা একজন মহাকাশ প্রকৌশলী এবং রকেট বিজ্ঞানী। তাঁর এই খ্যাতির রয়েছে দিনের পর দিনের পরিশ্রম। মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং, মহাকাশযানের গতি, বিস্ফোরক প্রক্রিয়া অন্যান্য ক্ষেত্রে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নেপথ্যে রয়েছে তাঁরই অবদান।