চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3), চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর প্রথম অনুসন্ধান পাঠানোর পরে, বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, যে পৃষ্ঠে চন্দ্রযান ৩ অবতরণ করেছে এবং তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে মহাকাশ বিজ্ঞানে সাফল্যের নতুন সংজ্ঞা লেখার পর ল্যান্ডার ও রোভারে নিয়োজিত পেলোডগুলো চাঁদের রহস্য জানার চেষ্টা করছে। সেখানে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে অনুমান করা হয়েছিল, তবে আদতে এটি ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা কখনো আশা করা হয়নি।
ইসরোর বিজ্ঞানী বিএইচ দারুকেশা বলেন, “আশ্চর্যজনকভাবে এটা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। পৃথিবীতে, এই ধরনের বৈচিত্র্য খুব কমই আছে এবং তাই চন্দ্রযান ৩এর প্রথম অনুসন্ধানগুলি খুবই আকর্ষণীয়। যখন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার যাই, তখন আমরা খুব কমই ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বৈচিত্র দেখতে পাই, যেখানে চাঁদে এই বৈচিত্র্য প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা বেশ আকর্ষণীয়।” দক্ষিণ মেরুর চারপাশে চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার তারতম্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট (70 °C) থেকে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রে (10 °C) পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: মহাকাশে পাঠানো হয়েছে ১৩৬ টি গাছের বীজ, সত্যিই কী মহাকাশে চাষের জন্য বড়সড় পরিকল্পনা করছে ড্রাগনের দেশ চীন
এই প্রথম বিশ্বের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এই তথ্য পেল ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান ৩এর সৌজন্যে। ইসরো দ্বারা প্রকাশিত গ্রাফটি বিভিন্ন গভীরতায় বিক্রম পেলোড দ্বারা অনুসন্ধান করা চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা দেখায়। চার্ট অনুযায়ী, মাটিতে তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে এবং ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় এটি ৬০ ডিগ্রির বেশি বৃদ্ধি পায়। মাইনাস ৮০ সেন্টিমিটার গভীরতায় অর্থাৎ মাটির নীচে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।
আরো পড়ুন: ১ বছর নাকি ২ বছর! স্মার্টফোনের আয়ু কত দিন? আসল সত্যিটা জেনে কপালে উঠবে চোখ
দিনের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে, কারণ চাঁদের এখনও একটি চন্দ্র দিন রয়েছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ, চন্দ্রযান-৩এর অবতরণের জন্য দক্ষিণ মেরু বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে বলেছিলেন যে, দক্ষিণ মেরু সূর্যের (Sun) চেয়ে কম আলোকিত তাই এই মেরু বেছে নেওয়া হয়। চন্দ্রযান ৩এর ল্যান্ডারের সফল অবতরণের কারণে প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বড় তথ্যটি সামনে এসেছে।