যে কোনো ছাত্র বা ছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি শিক্ষকরা লক্ষ্য রাখেন সেটি হলো হাতের লেখা (Hand Writing)। বলাই বাহুল্য, জীবনে এই সফলতা অর্জন করতে গেলে এই হাতের লেখার একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। একজন সুন্দর মনের মানুষ সব সময় একজন সুন্দর হাতের লেখার (World Best Hand Writing) অধিকারী বা অধিকারিনী হন।
তবে আমাদের এবং আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা খুব সুন্দর হাতের লেখা লিখে থাকেন। তবে প্রত্যেকের হাতের লেখার মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকে। কেউ টানা হাতের হাতের লেখা খুব সুন্দর লেখেন কেউ আবার ব্লক লেটারের লেখা সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারেন। কেউ বাংলা হাতের লেখা খুব সুন্দর লেখেন কেউ আবার ইংরেজি।
তবে আজ এমন একটি হাতের লেখা শেয়ার করব যা যেকোনো টাইপিং লেখাকে হার মানিয়ে দিতে পারে। নেপালের এক স্কুল ছাত্রীর এই লেখা বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। কিভাবে ওই ছাত্রীটি এত সুন্দর হাতের লেখা লেখে তা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন: একদম জলের দরে ভুটান ভ্রমণের দুর্দান্ত সুযোগ, ভুলেও করবেন না মিস
নেপালের সৈনিক রাশিয়া মহাবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতি মাল্য, মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের অসাধারণ হাতে লেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এই হাতের লেখার জন্য গিনিস বুকে নাম উঠে গিয়েছিল ওই ছোট্ট ছাত্রীর।
নেপালের এক ভদ্রলোকের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছিল প্রকৃতির এই অসাধারণ হাতের লেখা এবং তিনি এই হাতের লেখার সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা শেয়ার করেন এবং রাতারাতি সেই হাতের লেখা ভাইরাল হয়ে যায়।
রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই হাতের লেখা দেখে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরা হয়েছিলেন ভীষণ বিস্মিত। লেখাটি দেখলে যেন মনে হবে কম্পিউটারে টাইপ করা। এটি যে কারোর হাতের লেখা হতে পারে তা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন: একদম জলের দরে দুর্দান্ত ফোন আনল Jio সংস্থা, Jio Bharat হ্যান্ডসেটেই মিলবে একাধিক সুবিধা
এতটা নিখুঁত এতটা সুন্দর হাতের লেখা এর আগে কখনোই দেখেনি বিশ্ব। এই হাতের লেখা শুধু নেপাল নয়, সারা বিশ্বের কাছে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়েছিল. নেপালের সরকার এই হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নেপালের সেরা হস্তাক্ষর হিসাবে। পাশাপাশি নেপালের সশস্ত্র বাহিনীও প্রকৃতিকে পুরস্কৃত করেছিল।