টেলিকম দুনিয়ায় একসময় দুটি বড় সংস্থা ছিল ভোডাফোন( Vodafone)এবং এয়ারটেল(Airtel)। কিন্তু মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও (Jio) টেলিকম জগতে প্রবেশ করার সাথে সাথে এই যুদ্ধ আরো কঠিন হয়ে উঠল অন্যদের ক্ষেত্রে। মুকেশ আম্বানির জিও লঞ্চ করার সাথে সাথে প্রতিযোগিতা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যায় ভোডাফোন আইডিয়া। প্রতিযোগিতার মার্কেট এখন শুধুমাত্র ধরে রেখেছে এয়ারটেল এবং জিও।
আরো পড়ুন: লিটিল ইন্ডিয়া নামে খ্যাত বিশ্বের এই দেশ! যেখানে সরকারি ভাষা হিন্দি,জানেন না অধিকাংশ মানুষজন
ভারতের সবথেকে বড় টেলিকম সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও বারবার জিওর কাছে পরাজিত হতে হয় এয়ারটেলকে। তবে রিলায়েন্স জিও অন্য ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও পোস্টপেইড গ্রাহকদের সংখ্যার ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে সুনীল ভারতী মিত্তাল পরিচালিত এয়ারটেল। পোস্ট পেড গ্রাহকরা শুরু থেকেই এয়ারটেলের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। পোস্টপেইড( Postpaid)গ্রাহকদের তুলনায় প্রিপেড গ্রাহকরা অনেক বেশি সংখ্যক থাকলেও এয়ারটেল তাদের পোস্টপেড গ্রাহকদের ওপরই ভরসা করে থাকেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসের গোড়ার দিকে এই রিলায়েন্স জিও নতুন পোস্টপেড প্ল্যান চালু করলেও গ্রাহকদের থেকে তেমন ভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি, অন্যদিকে এয়ারটেল পোস্টপেইড গ্রাহকদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এর প্রধান কারণ হলো এয়ারটেল তার পোস্টপেইড পরিষেবাকে প্রিমিয়াম করে তুলেছে।
আরো পড়ুন: অপটিক্যাল ইলিউশনের এই ছবিতে একটি বাঘ লুকিয়ে আছে, 99% মানুষ এটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ
এই প্রসঙ্গে BNP পরিবেশ ইন্ডিয়ার ইকুইটি রিসার্চের ইন্ডিয়া হেড কুনাল ভোরা জানিয়েছেন, পোস্ট পেড প্রোডাক্ট হলে একটি পুশ মার্কেট প্রোডাক্ট। কোম্পানিগুলি যদি গ্রাহকদের সঙ্গে সর্বদা এনডিএজ হয়ে থাকেন তাহলে গ্রাহকরা প্রিমিয়াম থেকে পোস্টপেডে রূপান্তরিত হয়। এছাড়াও রিটেল স্টোর এবং কল সেন্টার সম্পর্কিত মার্কেটিং পদক্ষেপ নিলে গ্রাহকদের সংখ্যা আরো বেশি বেড়ে যায় যা এয়ারটেল অনেক আগে থেকেই করছে।
গত এপ্রিল মাসের জুন মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এয়ারটেল প্রায় ৮ লক্ষ নতুন পোস্টপেইড ইউজার অন্তর্ভুক্ত করেছেন নিজেদের নেটওয়ার্কে। যদিও জিও এয়ারটেলের থেকে কতটা পিছিয়ে রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।