মহাকাশে ঐতিহাসিক জয়ের পর এবার লক্ষ্য সমুদ্র! একাধিক অজানা তথ্য উঠে আসবে ISRO এই অভিযানে

চাঁদ থেকে সূর্য, সর্বত্র একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা(ISRO)। চন্দ্রযান ৩ এবং আদিত্য এল ১, এই দুইয়ের সাফল্যের পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার তরফ থেকে হতে চলেছে সমুদ্র যাত্রা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন সমুদ্র যাত্রাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, এই যাত্রার মাধ্যমে ভারত কি কি সাফল্যে অর্জন করবে?

আরো পড়ুন: রয়েছে ২০ টি হাত ১০ টি শুঁড়, আন্টার্কটিকার সমুদ্রের তলায় বিজ্ঞানীদের মিলল ভিনগ্রহের দানব
সবার আগে জানিয়ে দিন সমুদ্র যান কি?

সমুদ্র যান হলো ভারতের প্রথম মনুষ্য পরিচালিত সাবমেরিন অভিযান, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ৬০০ মিটার গভীর সমুদ্রে যেতে পারবেন খুব সহজে। বিশেষ কিছু সরঞ্জাম এবং সেন্সরের মাধ্যমে সমুদ্রের অতল গভীরে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযানটি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

সমুদ্রযানের লক্ষ্য কি?

সমুদ্রযানের লক্ষ্য হলো, জলের অতল গভীরে খনিজ পদার্থ খুঁজে বের করা। সমুদ্রের অতল গভীরে পলিমেটালিক নুডুলস, কোবাল্ট সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট এবং হাইড্রোথার্মাল খুঁজে নিয়ে এসে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। সমুদ্রের যতটা গভীরে এই সমুদ্রযান যাবে, ততটা জায়গা জুড়ে জলের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কাজ করা যাবে। সমুদ্রের অতল গভীরের পরিবেশ নিয়েও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।

আরো পড়ুন: চাঁদের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে গিয়ে ISRO বিজ্ঞানীদের সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা জেনে কপালে উঠবে চোখ
এটি কতক্ষণ একটানা কাজ করবে?

এই সাবমেরিনটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। তবে কোন জরুরী অবস্থায় পড়লে টানা ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে এই সমুদ্র যান। এই মিশন সফল হলে মহাকাশের পাশাপাশি সমুদ্রের নিচের অনেক অজানা তথ্য পরিষ্কার হয়ে যাবে বিজ্ঞানীদের কাছে।