চন্দ্রযান ৩ অভিযানের পর এবার ভারতের নভশ্চররা পা রাখে চলেছেন মহাকাশের মাটিতে জানুন কবে থেকে শুরু হচ্ছে পরিকল্পনা

গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 ) সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে এবং ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে বিশ্বের দরবারে। আগামী ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Scientist)। এরই মধ্যে ইসরো গগনযান মিশন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন(ISRO)।

আরো পড়ুন: নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের সব থেকে বেশি বেতন দেন উত্তরপ্রদেশ সরকার, কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলা! দেখুন তালিকা

গগনযান নামক এই কৃত্রিম উপগ্রহের যে সমস্ত মহাকাশচারীরা পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বে যাবেন তাদের বলা হবে গগননট। একদিকে গগনযান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ চলছে জোর কদমে অন্যদিকে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ রয়েছে তুঙ্গে। আগস্ট মাসের চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পরেই জোর কদমে শুরু হয়ে যাবে গগণযান মিশন।

চন্দ্রযান ৩ নামক কৃত্রিম উপগ্রহকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার জন্য ভারতের সবথেকে ভারী রকেট লঞ্চ ভেইকেল মার্ক থ্রি- কে কাজে লাগানো হয়েছিল। গগনযান মিশনের জন্য রকেটের পরবর্তী সংস্করণ ব্যবহার করা হবে। মানুষকে ঠিকঠাক বহন করতে গগনযান কতটা সক্ষম, তা জানতে প্রাথমিকভাবে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তিনজন মহাকাশচারীকে প্রথমে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ৪০০ কিলোমিটারে পাঠানো হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে এই মিশন। মহাকাশযানটি অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।

এই প্রসঙ্গে ইসরোর চিফ এস সোমনাথ জানিয়েছেন, আগস্টের শেষের দিকে শুরু হবে গগনযান-এর অ্যাবর্ট মিশন। যেহেতু মহাকাশচারীদের নিয়ে এই রকেটটি উৎক্ষেপণ হবে তাই আরো উন্নতভাবে এটি তৈরি করা হবে। চন্দ্রযান ৩ রকেটে ইনস্টল করা হয়েছে একাধিক হিউম্যান রেটেড সিস্টেম। হিউম্যান রেটেড সিস্টেম বলতে বোঝায় একজন মানুষকে বহন করার সময় রকেটটিতে কতটা সুরক্ষা থাকা উচিত। মানুষ বই নিয়ে যাওয়ার সময় কোনো গোলমাল হলেই নিজে থেকে রকেটে থেমে যাবে।

আরো পড়ুন: কে কীরকম ধরনের মানুষ চিনতে পারবেন বসার ভঙ্গি দেখেই, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত

রকেটে লাগানো L110 ইঞ্জিন দিয়েও মানুষের বহনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। L110- এর অর্থ রকেটের নিচের অংশের স্ট্র্যাপ অন ইঞ্জিন। ইসরো তাদের গগনযান মিশন প্রস্তুতির আগে একাধিক মিশনে হিউম্যান রেটেড সিস্টেম এবং এলভিএম- ৩ রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পরীক্ষা চালাবে রকেটের সক্ষমতা এবং কর্মক্ষমতার।