টেলিকমের পর এখন ইন্টারনেট দুনিয়া কাঁপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুকেশ আম্বানি, জেনে নিন কী কী উপকার হবে আপনার!

বিখ্যাত ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) কোম্পানী রিলায়েন্স জিও দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি। এই কোম্পানীটি ২০১৬ সালে টেলিকম জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সংস্থাটি এখন ইন্টারনেটের জগতেও আলোড়ন সৃষ্টি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএম (AGM) ২৮শে আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইসময় কোম্পানীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, রিলায়েন্সের ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (FWA) ডিভাইস জিও এয়ারফাইবার (Jio AirFiber) চালু করার ঘোষণা করতে পারেন।

Mukesh Ambani
অন্যান্য কোম্পানীর তুলনায় এর দাম ২০ শতাংশ কম হতে পারে বলে জানা গেছে। জিও (Jio) এখনো পর্যন্ত নানান অফার সহ নতুন পণ্য চালু করেছে এবং এবারও একই হতে পারে। সূত্র অনুযায়ী, জিও, শহরগুলিতে গ্রাহক পরীক্ষা শুরু করেছে, যেখানে তার ৫জি রোলআউট সম্পন্ন হয়েছে। কোম্পানীটি নির্বাচিত ব্যবহারকারীদের ডিভাইসগুলিও দিয়েছে, যাতে এটি চালু হওয়ার আগে সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করা যায়। জিওর ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস ডিভাইস ক্যারিয়ার একত্রীকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা বিভিন্ন ৫জি এয়ারওয়েজ ব্যবহার করে একটি ডেটা পথ তৈরি করবে।

আরো পড়ুন: বিনিয়োগের মামলায় ভারতের সেরা উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় নম্বরে গুজরাট! জানুন তালিকায় কত নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্থান

জিও গত বছর ৭০০ এমেইছেদ (MHz), ৩৩০০ এমএইচজেড এবং ২৬ জিএইচজেড স্পেকট্রাম কিনেছিল। এই মাসের শুরুতে, ভারতী এয়ারটেল মুম্বাই এবং দিল্লিতে তার ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস এক্সট্রিম এয়ারফাইবার (FWA Xstream AirFiber) চালু করেছে। এই ডিভাইসটির দাম ২৫০০ টাকা। এর সাবস্ক্রিপশনের খরচ প্রতি মাসে ৭৯৯ টাকা। এয়ারটেল (Airtel) বর্তমানে ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন অফার করছে এবং এর জন্য ব্যবহারকারীদের ৭,৩০০ টাকা চার্জ করা হচ্ছে।

Mukesh Ambani আরো পড়ুন: কখনো কী ভেবেছেন গুগল লোগোতে কেন দেখা যায় শুধুমাত্র এই ৪ টি রং! এর পেছনের কারণ আপনাকেও করবে অবাক

এমন পরিস্থিতিতে, জিও কিছু সময়ের জন্য ছাড় দিতে পারে বা বিনামূল্যে ট্রায়াল দিতে পারে। দেশে ডেটা (DATA) ব্যবহার বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে এফডব্লিউএর ব্যবহার বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস হবে। ২০২৮ সালের শেষ নাগাদ এটি ৩০০ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।