আমরা সকলেই ছোটবেলায় রূপকথার গল্প শুনেছি। ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী অথবা রাক্ষস খোক্ষসের গল্প শুনে বড় হয়েছি আমরা। এখন যদিও স্মার্টফোনের(Smartphone) আড়ালে এসব কিছু হারিয়ে গেছে কিন্তু ৯০ শতকের ছেলে মেয়েরা খুব ভালো করে জানে, রূপকথার(Fairy Tale) গল্পের মর্ম। এমন একটি রূপকথার চরিত্র হলো পরি বা অ্যাঞ্জেল। কেউ কেউ এদিকে কল্পনা বলে মনে করেন আবার কেউ কেউ মনে করেন সত্য।
আমরা জেনে এসেছি এই পরীরা খুব সুন্দরী হন এবং ভালো মানুষের প্রত্যেক ইচ্ছা পূরণ করেন একটি কাঠির অঙ্গুলিলেহনে। তবে কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে যদি বাস্তবে রূপকথার দেশে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে অবশ্যই উত্তরাখন্ডে(Uttarakhand) আপনাকে আসতে হবে একবার।
আরো পড়ুন: দুই রাজ্যের একটি স্টেশন, এক রাজ্যে রয়েছে টিকিট ঘর অন্য রাজ্যে বসেন স্টেশন মাস্টার
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ(Rishikesh)থেকে সড়ক পথের তেহরি গাড়োয়াল জেলার ফেগুলীপট্টি থাট গ্রামে পৌঁছতে হবে আপনাকে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় খাইত পর্বতে। এই গম্বুজ বিশিষ্ট পর্বতের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচু, স্বাভাবিকভাবেই এটি পাহাড় হলেও আপনাকে পর্বতের অনুভূতি দেবে।
মনে করা হয়, এখানে বসবাসকারী পরীরা এখনো এখানকার গ্রামের মানুষদের রক্ষা করে চলেছে। পাহাড়ে পরীদের বলা হয় আখরি। এই গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে খৈতখাল নামে একটি জায়গা আছে, যেখানে একটি পরীর মন্দির রয়েছে এবং সেখানে প্রত্যেক দিন পরীর পূজো করা হয়। এই মন্দিরটি আজও বহু মানুষের রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
আরো পড়ুন: কে কীরকম ধরনের মানুষ চিনতে পারবেন বসার ভঙ্গি দেখেই, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত
এই পাহাড়ের সৌন্দর্য সারা বছর একইভাবে বর্তমান থাকে। সবুজে সমারোহ এই পর্বত থেকে যদি কোন উদ্ভিদ আপনি বাড়িতে নিয়ে আসতে চান তাহলে কিন্তু সেটি শুকিয়ে যাবে অথবা মরে যাবে। গ্রামের বাসিন্দাদের মত অনুযায়ী, এখানে হয়তো কেউ স্বচক্ষে পরী দেখেনি কিন্তু বহুবার প্রমাণ পেয়েছে তাদের অস্তিত্বের। জুন মাসে এই গ্রামে একটি রূপকথার মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বহু দূর থেকে মানুষ আসেন এই মেলা দেখতে।