সিম কার্ড(Sim Card) ভীষণ প্রয়োজনীয় একটি নথি বর্তমান প্রজন্মের কাছে। এই সিম কার্ড আমাদের এক প্রকার পরিচয় পত্র বটে। এবার এই সিম সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়ম লাঘু করল দ্যা ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম(DOT)। মানুষ কিভাবে সিম কিনবেন বা ব্যবহার করবেন, সেই বিষয়গুলি নির্ধারিত করা হবে এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী।
প্রধানত দুটি নিয়ম লাভ করা হয়েছে টেলিকম ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে যার মধ্যে একটি নিয়ম সাধারণ সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য এবং অন্যটি জিও এবং এয়ারটেলের মত টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য। এই নতুন নিয়মের মধ্যে দিয়ে ভারতের সিম কার্ডগুলি এতদিন যেভাবে বিক্রি করা হতো, সেই বিষয়গুলি পরিবর্তিত করা হবে
আরো পড়ুন: অর্চনা পায়েল থেকে সানা, এই বলিউড অভিনেত্রীরা যারা বি গ্ৰেড সিনেমা দিয়ে শুরু করেছিলেন নিজেদের অভিনয় ক্যারিয়ার
এতদিন যেভাবে সিম কার্ড বিক্রি হচ্ছিল ভারতে, তাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা একটি বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এবং তাই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে আরো জোরদার করার জন্য এই নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। টেলিকম ডিপার্টমেন্টের দাবি অনুযায়ী, এবার থেকে এয়ারটেল এবং জিও সহ টেলিকম সংস্থাগুলিকে সেই সমস্ত দোকানের পুঙ্খানুপুঙ্খ কেওয়াইসি করতে হবে, যেখানে তাদের সিম বিক্রি করা হয়।
যদি দোকানগুলি KYC ভেরিফিকেশন করতে বাধ্য হয় তাহলে প্রতি দোকান ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে প্রত্যেকটি দোকানকে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মে যদি লাইসেন্সধারী, গ্রাহকদের নথিভুক্ত করতে পয়েন্ট অফ সেল নিয়োগ করেন, তাহলে দেশে নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধরনের পয়েন্ট অফ সেলদের রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক হবে। এই কথার অর্থ হলো, জিও এবং এয়ারটেলের মত সংস্থাগুলিকে আরো বেশি করে নজর রাখতে হবে, কারা তাদের সিম ব্যবহার করছে এবং কিভাবে ব্যবহার করছে।
এছাড়াও ভারতের সীমান্তে যে সমস্ত রাজ্যগুলি রয়েছে যেমন অসম, কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে গ্রাহকদের নতুন সিম বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়ার আগে সেই দোকানগুলির পুলিশ যাচাই করে নেওয়া হবে। এতে আমাদের দেশের নিরাপত্তা আরো বেশি জোরদার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক ফ্লপ ফ্লিম, তা সত্ত্বেও আসন্ন সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বাসিত এই বলিউড তারকারা
সিম কার্ড কিনেছেন এমন গ্রাহকদের জন্য নতুন নিয়ম আনা হয়েছে।। আগে একটি সিম কার্ড কেনার সময় শুধুমাত্র ভেরিফিকেশন করা হতো কিন্তু এখন থেকে সিম কার্ড হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হয়ে গেলে, পুনরায় তা ইস্যু করার প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রেও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া করতে হবে গ্রাহকদের। সহজ কথাই বলতে গেলে আপনার সিম যদি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে আপনার নাম ঠিকানা যাচাই না করলে আপনাকে আর নতুন সিম দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, যেভাবে প্রতিনিয়ত সাইবার জালিয়াতি এবং স্ক্যাম ম্যাসেজিং বেড়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে সিম বিক্রি করার আগে গ্রাহক এবং দোকান দুজনেরই ভেরিফিকেশন করে নেওয়া ভীষণ প্রয়োজন না হলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ সমস্যার মুখে পড়বে।